চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার একবছর
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় ইসকন কর্মীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে আইনজীবী আলিফকে।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকরা এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এখনো বিচার শুরু হয়নি। পাশাপাশি চার্জশিটভুক্ত আসামির মধ্যে ১৮ জনের এখনো হদিস পাওয়া যায়নি।
আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি নানা কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে সকালে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন আইনজীবীরা।
এসময় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান আলী বক্তব্য দেন। এসময় মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবি জানান আইনজীবীরা। তারা একবছরেও হত্যা মামলার বিচার শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আলিফের মামলার আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, এ মামলায় ৩৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। ২১ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৮ জন এখনো পলাতক।
আইনজীবী রায়হানুল আরো জানান, ঘটনাটি চট্টগ্রাম আদালত এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে নজিরবিহীন। আগামী ১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য আছে। পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পি এন্ড এ জারি হয়ে আসার পর পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। তারপর মামলাটি বিচার পর্বে অগ্রসর হবে।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সনাতন ধর্মের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাঁর অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় হামলা ভাঙচুর ও সংঘর্ষ চালায়। ওই হামলায় আদালত ভবনের প্রবেশপথের বিপরীতে অ্যাডভোকেট আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
