দেড় মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধূ পুরুষ!
এমটিএ নিউজ ২৪ ডেস্ক
দেড় মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে আসে মাহমুদুল হাসান শান্ত'র বিয়ে করা নববধূ সামিয়া একজন পুরুষ মানুষ। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে কথিত সামিয়া'কে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
মাহমুদুল হাসান শান্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে।
শান্ত'র স্ত্রী কথিত সামিয়া'র প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। সে চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে সামিয়া নামে দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত ৭ জুন শান্ত'র বাড়িতে চলে আসে কথিত সামিয়া। এরপর পরিবারের সম্মতিতে এলাকাবাসী মৌলভি দিয়ে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে করিয়ে দেন। এরপর থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকে সামিয়া। তবে নানা কারণে সম্প্রতি শান্ত ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে তাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হয় নববধূ সামিয়া একজন ছেলে মানুষ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে
মাহমুদুল হাসান শান্ত জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে কথিত সামিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর হঠাৎ গত ৭ জুন সে তাদের বাড়িতে চলে আসে। এসময় তার অভিভাবক ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীর আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলেই সে বলত, ‘আমি এখন অসুস্থ, ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছে।’
শান্ত'র মা মোছা. সোহাগী বেগম জানান, একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারে বৌ হয়েছিল, আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। সে অভিনয় করে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু সবই যে তার অভিনয় ছিল তা আমরা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার সকালে আমরা তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।
এ প্রসঙ্গে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া ফোনে বলেন, শান্ত'র সাথে আমি যা করেছি, সেটা আমি অন্যায় করেছি। এটা আমার করা ঠিক হয়নি।
তিনি আরও জানান, তার হরমোন জাতীয় শারীরিক সমস্যা আছে, তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে তার ভালো লাগে।
