৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হবে ঢাকা? যা জানাল রাজউক
নরসিংদীর মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শহরের অন্তত ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রাণহানি দুই লাখেরও বেশি হতে পারে এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে—রাজউকের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজউক, বুয়েট, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারীর মতে, ভবন নির্মাণ তদারকিতে রাজউকের সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়। তিনি ভবন ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পক্ষকে সম্পৃক্ত করা এবং তলা-ভিত্তিক যাচাইয়ের মাধ্যমে সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে বিশেষ আদেশ জারি করা জরুরি। একইসঙ্গে পুরান ঢাকা সংস্কার, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব সেবাদানকারী সংস্থাকে দুর্যোগ প্রস্তুতিতে আরও সচেতন করার আহ্বান জানান তিনি।
গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, ভূমিকম্প মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার একটি বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রস্তুতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠনের কাজ চলছে। এটি চালু হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্তকরণ ও নির্মাণব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে রাজধানীর বহু ভবন দুলে ওঠে। মাত্রা ৬-এর নিচে থাকলেও সারা দেশে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়, যা আবারও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, ভূমিকম্প মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার একটি বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রস্তুতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠনের কাজ চলছে। এটি চালু হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্তকরণ ও নির্মাণব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে রাজধানীর বহু ভবন দুলে ওঠে। মাত্রা ৬-এর নিচে থাকলেও সারা দেশে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়, যা আবারও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
